শাড়ি ব‍্যবসার আড়ালে মদ তৈরীর কারবার : ঘটনায় চাঞ্চল‍্য কালনায়

4th September 2020 1:01 pm বর্ধমান
শাড়ি ব‍্যবসার আড়ালে মদ তৈরীর কারবার : ঘটনায় চাঞ্চল‍্য কালনায়


বাবু সিদ্ধান্ত ( কালনা ) :  ভাড়া বাড়িতে শাড়ি ব্যবসার আড়ালে চলছিল নকল মদ তৈরীর কারবার।গোপনসূত্রে সেই খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের  যোগী পাড়ার ওই বাড়িতে হানাদিয়ে নকল মদ কারবারীকে গ্রেপ্তার করলো আবগারি দপ্তর ।  উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নকল মদ ও মদ তৈরির উপকরণ । ধৃতের নাম হরেকৃষ্ণ দাস।তার বাড়ি কালনার যোগীপাড়াতেই ।বৃহস্পতিবার ধৃতকে কালনা মহকুমা আদালতে  পেশ করে 
হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ। নকল মদ তৈরির  কারবারে  আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে তা জানতে ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।  আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,  কাপড় ব্যবসা করা কথা বলে বছর খানেক আগে হরেকৃষ্ণ দাস কালনা শহরের যোগীপাড়ায় একটি বাড়ির দোতলায়  ঘর  ভাড়া নেয়।  সেখানেই কাপড় ব্যবসার আড়ালে তিনি 
নকল মদ তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ  । নির্দিষ্ট সময়ে  ভাড়া মিটিয়ে দিতেন হরেকৃষ্ণ । বাড়িওয়ালার সঙ্গে তার কোনদিন অশান্তিও হয়নি ।  কাপড় ব্যবসার কথা বলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে  হরেকৃষ্ণ যে নকল  মদ তৈরির কারবার ফেঁদেছে তা নাকি টেরও পাননি বাড়িওয়ালা। ওই বাড়ির মালিক চিত্রাদেবীর দাবি তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না।যখন ওই ব্যক্তি আসতো বাড়ির ভিতর মালপত্র নিয়ে ঢুকতো তখন ব্যাগের উপরের দিক থেকে নাকি শাড়িই দেখা যেতো।এইভাবে বাড়ি ওয়ালাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে হরেকৃষ্ণ তার নকল মদ কারবারে রমরমা বৃদ্ধি ঘটায় । আবগারি দপ্তরের এক কর্তা বলেন ,  নকল মদ তেরির কারবার চালানোর অভিযোগে  আগেও একবার ধরা পরে হরেকৃষ্ণ জেলে গিয়েছিল ।  ফের হরেকৃষ্ণ নকল মদ তৈরির কারবার শুরু করেছে  বলে  সম্প্রতি আবগারি দপ্তরে খবর যায় । বুধবার গভীর রাতে ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর অরুণ কুমার হাজরা ও কালনার আবগারি ওসি গোপীনাথ সিনহার নেতৃত্বে যোগীপাড়ার ভাড়া বাড়িতে অভিযান চলে।সেখান থেকে  নকল দেশী ও বিদেশী মদ, মদ তৈরীর সরঞ্জাম স্পিরিট ,হলোগ্রাম ইত্যাদি উদ্ধার হয়। এ পরেই গ্রেপ্তার করা হয় হরেকৃষ্ণ দাস কে ।জেরায় ধৃত হরেকৃষ্ণ জানায় ,
কলকাতা থেকে নকল মদ তৈরির মালপত্র এনে সে ভাড়া বাড়িতে মদ তৈরি করতো । তিনি ও তার লোকজন সেই নকল মদ কালনা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা হুগলী,নদিয়া ও আরও অন্য জায়গায়  সরবরাহ করতো। এই ঘটনা বিষয়ে ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর অরুণ কুমার হাজরা বলেন, “ বুধবার রাতের  ৩০০ বোতল নকল দেশী মদ,৫০ লিটার স্পিরিট, ১৮লিটার বিদেশী মদের লিকুইড ভর্তি জার  উদ্ধা হয়েছে । এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে ,৩০০ হলোগ্রাম ও নকল মদ তৈরির বিভিন্ন  সরঞ্জাম  উদ্ধার হয়েছো। এক্সাইজ কালেক্টর জানিয়েছেন , নকল মদ কারবারে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ”





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।